,

নবীগঞ্জে রিক্সা চালকের স্ত্রীকে ওমানে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন, ৪ মানব পাচারকারীর বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলায় রিক্সা চালকের স্ত্রীকে বড় অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে ওমানে নিয়ে তার সাথে দৈহিক মেলা মেশা ও পাষবিক নির্যাতন
করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলার সুত্রে প্রকাশ, উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের বারিকান্দি (হালিতলা) গ্রামের রিক্সা চালক আবুল মিয়ার স্ত্রী তাকমিনা বেগমকে ফলোভনে ফেলে ওমানে নিয়ে তাকে দৈহিক মেলা মেশা ও পাষবিক নির্যাতন করলে তাহমিনা আত্মহত্যার ভয় দেখান। তখন আসামীগণ তাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়। দেশে এসে তাহমিনা বেগম হবিগঞ্জ মানব পাচার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। বিদেশ যাওয়ার সময় তাকমিনা বেগমকে ফলোভন দেখিয়ে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মাধ্যমে ওমান দেশে নেয়ার মৌখিক চুক্তি করে ওই গ্রামের মাতাব উল্লার পুত্র মুতি মিয়া ও তার স্ত্রী ময়না বেগম, মোহাম্মদ আলীর পুত্র আষ্টব আলী ও তার স্ত্রী মাফিয়া বেগম। শর্ত মোতাবেক তাকমিনা ৬০ হাজার টাকা দেশে থাকতেই দিয়ে দেয়। চুক্তি হয় অবশিষ্ট ৬০ হাজার টাকা ওমানে পৌছে রুজি করে পরিশোধ করবে। গত ১৬ নভেম্বর ২০১৭ইং তারিখে তাকে ওমানে নেয়া হয়। কিন্তু ওই দেশে যাবার পর মানব পাচারকারী বারিকান্দি (হালিতলা) গ্রামের মাতাব উল্লার পুত্র মুতি মিয়া, মোহাম্মদ আলীর পুত্র আষ্টব মিয়া অন্য এক লোককে ফোন করে এনে তার হাতে তুলে দেয় এবং তাহমিনা বেগমকে ঐ লোকের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ দিয়েছে বলে তার হাতে সমজাইয়া দেয়। এর পর থেকে গৃহকর্মীর কাজ না করাইয়া তাহমিনার সাথে জোর পূর্বকভাবে দিনের পর দিন পাষবিক নির্যাতন ও দৈহিক মেলা মেলামেশা করে। এতে সে অপারগতা প্রকাশ করলে তার প্রতি অত্যাচারের মাত্রা আরো বাড়াতে থাকে। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে তিন মাস অত্যাচার নির্যাতনে পর অন্যলোক দিয়ে তাকমিনা বেগমকে গত ৪ মার্চ ওমান দেশের মাসকর্ট এনে বিমানে তোলে দেয় মানব পাচারকারীগণ। দেশে এসে তিনি গত ৮ই মার্চ বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ মানব পাচার ট্রাইব্যুনালে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে এফ আই আর করতে নবীগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।


     এই বিভাগের আরো খবর